আবুল আর শাজাহানে গলাগলি করে, “ওরে ভাই
বুকে আয়, আয় বুকে, তুই ছাড়া মোর কেহ নাই।”
আকাশে পাতালে তুই লাখো কোটি সেতু দে রে ভরে,
আমি আছি শাজাহান, দিল-জান দিয়ে দেবো তোরে।
কিন্তু আমারে তরে ঝরে যেনো বখরার ঢল।
দোস্তো মানুষ তুই, কি বা আর ক’বো তোরে বল?
মিটিঙে যদিও আমি বিরোধিতা করেছিনু তোরে
চাঁদাবাজী ইস্যুটাতে। কিন্তু রাখিস তুই ধরে,
আবুইল্যা ছাড়া তোর দরদী কোথায় পাবি বল?
চাঁদার বখরা নিয়ে যেনো ভাই করিসনে ছল।
ফাইল বোঝাই করে সেতু আসে সেতু চলে যায়।
হতবাক শাজাহান বখরার দেখা নাহি পায়।
বড় আক্ষেপ নিয়ে আবুইল্যা ফ্যাল ফ্যাল চায়,
বস্তা বস্তা ভরে চাঁদার টাকারা সরে যায়।
তুই শালা বদমাশ, হারামীর রক্তের ছাও।
আমার বখরা মেরে দেখি বাছা কতদুরে যাও।
তুই শালা বদরাজ, চাঁদা খেলি পথে-জলে-ঘাটে
মেরেছিস ভাগা, তোরে ফেলবো ঠিকই আমি বাঁটে।
চোপরাহ বেতমীজ, নকল সৈয়দ কোথাকার।
জবান সামাল কর, কোথাকার খান-খাকছার।
বখরা ভাগার ডিলে, নেমে আসে হতাশার বাণ।
কপাল চাপড়ে কাঁদে সৈদ্যাবুল-খান্শাজাহান।
আবুল আর শাজাহানে গালাগালি করে, “ওরে ভাই,
তোর মতো বাটপার এভুবনে দুই পিস নাই।
বঙ্গমাতার কাছে দাখিল করবো ফরিয়াদ,
মন্ত্রীসভার
থেকে শীর্ঘই যেনো তোরে দেন বাদ।”