যৌনাভ্যাসে আমি সমকামী নই এবং নিজের হোগা বাঁচিয়ে চলতে
এতো বেশি তৎপর থাকতে হয় যে
ডক্টর জ্যাকসনের হোগা নিয়ে চিন্তা করার ইচ্ছে এবং সময়, কোনওটাই আমার নেই। তবে হঠাৎদর্শনে এক্ষেত্রে একটু চিন্তিত হতেই
হচ্ছে কারণ প্রফেসর জ্যাকসনের এই হোগা তার নিজের পাছা বা নিতম্ব নয়, এই হোগা হচ্ছে
তার সংগঠন Historical Ontological Genuineness Association (HOGA), বাংলায় বলা যায় ঐতিহাসিক সত্তাতাত্বিক অকৃত্তিমতা সমিতি (গুগলানুবাদানুযায়ী)।
চিন্তিত হতে হতেই আবার থেমে গেলাম। কি লাভ চিন্তা করে? গোটা
ব্যাপারটাই একটা শয়তানি কৌতুক। এবং এর হোতা হচ্ছে jorurikhobor.blogspot.com-এর আক্কেল খান নামের এডিটর-ইন-চিফ। তবে তার ইংরেজি লেখনিতে বেশ দখল আছে। আমি
তার ইংরেজিতে লেখা ব্লগের (Government discovers Bhasa Andolon actually took
place on 22nd February) কপি পেস্ট করতে
চাচ্ছিনা, পাঠক চাইলে কষ্ট করে একটু ছবিতে চোখ বুলিয়ে নিন, ফাজলামির চুড়ান্ত দেখতে
পাবেন। তবুও এর সারাংশ হচ্ছে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এক গবেষনায় আবিষ্কৃত হয়েছে যে ভাষা
আন্দোলন হয়েছিলো ১৯৫৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী এবং শহীদদের নাম মনোয়ার, তানভীর,
ফরহাদ, শাহরিয়ার এবং জেমস।
চিন্তিত হবোনা ভেবেও আবার চিন্তায় পেয়ে বসলো। তামাশা
করতে করতে কিছু মানুষ কোন পর্যায়ে চলে যায় তা ভেবে চিন্তিত হতে হয় বৈকি! আজকে ভাষা
আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে তামাশা করে ব্লগ লেখা হয়, কাল হয়তো আরও বড় কিছু নিয়ে তামাশা
করে এরা ব্লগ লিখবে। এইসব মানুষের কাছে ইতিহাস বা চেতনার কোন মূল্যই নেই এবং এরা
কোনও নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়না; দেখে হতাশ হতে হয়!
হতাশা আরও বাড়ে যখন দেখি ফেসবুক, ইউটিউব আটকে দেওয়া হয়
কিন্তু এইসব পাতা বহাল তবিয়তে থেকে যায়। ফেসবুক, ইউটিউব আটকে দেয়ার পক্ষে-বিপক্ষে
নানা মত থাকতে পারে কিন্তু এইসব কৌতুক আটকে দিলে আমার তো মনে হয়না যে একটা মানুষও
সেই আটকানোর বিপক্ষে কথা বলতে আসবে। ব্লগার এবং ব্লগপাঠকদের মধ্যে বিভিন্ন মতের
মানুষ আছে। কিন্তু জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি নিয়ে বানানো কৌতুক একমাত্র
ছাগুদল ও তাদের সমগোত্রীয় ছাড়া অন্য কেউ উপভোগ করতে পারে বলে বিশ্বাস করিনা। আমি
মনে করি আমাদের সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে এইসব দুষ্টেরদলকে রুখতে।