Sunday, April 8, 2012

চিটার আগুনে জ্বলে কৃষকের চিতা



চিটে পড়ে গেছে ক্ষেতভরা সব ধানে,
কৃষকের চোখে শর্ষেফুলের তারা।
মহাজন এসে বলে গেছে তার কানে,
জমির দলিল এবারও হলোনা ছাড়া।

ঋণের বোঝায় ঘাড় যেনো ভেঙে পড়ে।
ঘরে নেই ভাত, খিদেয় শিশুরা কাঁদে।
মাথা ঢাকতেই কাপড় থাকেনা ধড়ে।
জীবনাবর্ত চলমান মহা ফাঁদে।

শীর্ণ পাজর, গফুর-হারাণ ভাবে
চাষা হওয়াটা কি ছিলো কোনও অভিশাপ?
এভাবে না জানি আর কতোকাল যাবে,
প্রায়শ্চিত্তে কৃষক হওয়ার পাপ!

হাইব্রিড ধানে চিটে পড়া প্রান্তর,
সোনালী আশার গুড়ে ঢেলে দেয় বালি।
হাড়ে-পাঁজরাতে বেদনাতে জর্জর
রক্ত মেশানো ঘাম ঝরে খালি খালি।

হাইব্রীড কুটো গরুতে শোঁকেনা ভুলে
ছাগল-ভেড়ারও এ কুটোতে রুচিতে বাঁধে।
তবে কি কৃষক নেবে কুটো মুখে তুলে?
কিভাব নামাবে যতো ঋণ জমা কাঁধে?

মানুষের তরে ফসল ফলানো আজ
হয়ে গেছে যেনো কৃষকের মহা ভুল।
হয়তো কৃষক খুঁজবে অন্য কাজ
সরকার যদি না দেয় কিনারা-কূল।

এই বাংলার চাষা-কৃষকেরা যতো
যুগ যুগ ধরে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত।
ফসলের আমদানী চলে অবিরত
বিদেশী বন্ধু রাখতে সদাই প্রীত।

ছবিসূত্র 

Friday, February 3, 2012

সীমান্তদস্যুদের জন্মকথা

(ডিসক্লেইমারঃ সাবধান, একটি বদ লেখা। আধঘুমের সময়ের ব্লগরব্লগর, সুতরাং লেখক নিজেই ব্যাখ্যা প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়তে পারে)।

ছাগলে-বরাহে করে রাম সহবাস
তুড়ীয় সুখের তোড়ে ছাগ-বরাহে দোঁহে মিলে সুতীব্র মহা শীৎকার তোলে।
অর্ধঘন্টা অর্গাজমে বরাহ ঘর্মাক্ত হয়, লোমাগ্রে তার ঘাম্র বিন্দু ঝোলে,
রেতঃপাতে রামছাগলে পুরে অভিলাষ।

ইহাতে বিভ্রান্তি ঈশ্বরের হৃদপটে
বরাহেতে নাহি চলে শৃঙ্গ-দাড়ি-ক্ষুরসকলি, ব্যা-ব্যা স্বরে হতে নারে পটু।
তেমনই ছাগলরামে হ্রস্বগ্রীবা বেমানান, ঘোঁত-ঘোঁত করা বড়ই শ্রুতি কটু।
তদুপরি পায়ুষ্কামে গর্ভধারণ ঘটে?!

বিভ্রান্তি সত্বেও ঈশ্বর জারী করে রায়
পায়ুষ্কামে জন্ম নেওয়া বিচিত্র এ প্রাণীকূল লোকসমাজে বিপদজনক হবে।
সুতরাং ইহাদেরে প্রেরণ করিলেন বর্ডারে, সেখানে চরিয়ে খেয়ে রবে।
শুনে এটা, সেগুলিরে কে বা আর পায়!

Tuesday, January 31, 2012

অমর একুশে এবং প্রফেসর জ্যাকসনের হোগা




যৌনাভ্যাসে আমি সমকামী নই এবং নিজের হোগা বাঁচিয়ে চলতে এতো বেশি তপর থাকতে হয় যে ডক্টর জ্যাকসনের হোগা নিয়ে চিন্তা করার ইচ্ছে এবং সময়, কোনওটাই আমার নেই। তবে হঠাদর্শনে এক্ষেত্রে একটু চিন্তিত হতেই হচ্ছে কারণ প্রফেসর জ্যাকসনের এই হোগা তার নিজের পাছা বা নিতম্ব নয়, এই হোগা হচ্ছে তার সংগঠন Historical Ontological Genuineness Association (HOGA), বাংলায় বলা যায় ঐতিহাসিক সত্তাতাত্বিক অকৃত্তিমতা সমিতি (গুগলানুবাদানুযায়ী)।


চিন্তিত হতে হতেই আবার থেমে গেলাম। কি লাভ চিন্তা করে? গোটা ব্যাপারটাই একটা শয়তানি কৌতুক। এবং এর হোতা হচ্ছে jorurikhobor.blogspot.com-এর আক্কেল খান নামের এডিটর-ইন-চিফ। তবে তার ইংরেজি লেখনিতে বেশ দখল আছে। আমি তার ইংরেজিতে লেখা ব্লগের (Government discovers Bhasa Andolon actually took place on 22nd February) কপি পেস্ট করতে চাচ্ছিনা, পাঠক চাইলে কষ্ট করে একটু ছবিতে চোখ বুলিয়ে নিন, ফাজলামির চুড়ান্ত দেখতে পাবেন। তবুও এর সারাংশ হচ্ছে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এক গবেষনায় আবিষ্কৃত হয়েছে যে ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো ১৯৫৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী এবং শহীদদের নাম মনোয়ার, তানভীর, ফরহাদ, শাহরিয়ার এবং জেমস।

চিন্তিত হবোনা ভেবেও আবার চিন্তায় পেয়ে বসলো। তামাশা করতে করতে কিছু মানুষ কোন পর্যায়ে চলে যায় তা ভেবে চিন্তিত হতে হয় বৈকি! আজকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে তামাশা করে ব্লগ লেখা হয়, কাল হয়তো আরও বড় কিছু নিয়ে তামাশা করে এরা ব্লগ লিখবে। এইসব মানুষের কাছে ইতিহাস বা চেতনার কোন মূল্যই নেই এবং এরা কোনও নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়না; দেখে হতাশ হতে হয়!

হতাশা আরও বাড়ে যখন দেখি ফেসবুক, ইউটিউব আটকে দেওয়া হয় কিন্তু এইসব পাতা বহাল তবিয়তে থেকে যায়। ফেসবুক, ইউটিউব আটকে দেয়ার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকতে পারে কিন্তু এইসব কৌতুক আটকে দিলে আমার তো মনে হয়না যে একটা মানুষও সেই আটকানোর বিপক্ষে কথা বলতে আসবে। ব্লগার এবং ব্লগপাঠকদের মধ্যে বিভিন্ন মতের মানুষ আছে। কিন্তু জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি নিয়ে বানানো কৌতুক একমাত্র ছাগুদল ও তাদের সমগোত্রীয় ছাড়া অন্য কেউ উপভোগ করতে পারে বলে বিশ্বাস করিনা। আমি মনে করি আমাদের সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে এইসব দুষ্টেরদলকে রুখতে।

(ব্লগস্পটে কি যেনো হয়েছে, উইন্ডোজ সমর্থিত ব্রাউজারগুলোর একটাতেও ব্লগস্পট খুলছে না। ভাগ্নে উবান্টু ব্যবহারকারী। সে পাতাটা খুলে স্ক্রীনশট করে মেইল করে দিলো।)