চিটে পড়ে গেছে ক্ষেতভরা সব ধানে,
কৃষকের চোখে শর্ষেফুলের তারা।
মহাজন এসে বলে গেছে তার কানে,
“জমির দলিল এবারও হলোনা ছাড়া।“
ঋণের বোঝায় ঘাড় যেনো ভেঙে পড়ে।
ঘরে নেই ভাত, খিদেয় শিশুরা কাঁদে।
মাথা ঢাকতেই কাপড় থাকেনা ধড়ে।
জীবনাবর্ত চলমান মহা ফাঁদে।
শীর্ণ পাজর, গফুর-হারাণ ভাবে
চাষা হওয়াটা কি ছিলো কোনও অভিশাপ?
এভাবে না জানি আর কতোকাল যাবে,
প্রায়শ্চিত্তে কৃষক হওয়ার পাপ!
হাইব্রিড ধানে চিটে পড়া প্রান্তর,
সোনালী আশার গুড়ে ঢেলে দেয় বালি।
হাড়ে-পাঁজরাতে বেদনাতে জর্জর
রক্ত মেশানো ঘাম ঝরে খালি খালি।
হাইব্রীড কুটো গরুতে শোঁকেনা ভুলে
ছাগল-ভেড়ারও এ কুটোতে রুচিতে বাঁধে।
তবে কি কৃষক নেবে কুটো মুখে তুলে?
কিভাব নামাবে যতো ঋণ জমা কাঁধে?
মানুষের তরে ফসল ফলানো আজ
হয়ে গেছে যেনো কৃষকের মহা ভুল।
হয়তো কৃষক খুঁজবে অন্য কাজ
সরকার যদি না দেয় কিনারা-কূল।
এই বাংলার চাষা-কৃষকেরা যতো
যুগ যুগ ধরে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত।
ফসলের আমদানী চলে অবিরত
বিদেশী
বন্ধু রাখতে সদাই প্রীত।ছবিসূত্র